অনুমোদন ছাড়া হজ করলে ২০ হাজার রিয়াল জরিমানা, ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা

print news
img

অনুমোদন ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে বা এমন কোনো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করলেই কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে,
“যে কেউ হজের অনুমতি ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করলে তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫ হাজার ৩৩১ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।”

ভিজিট ভিসাধারীরাও আওতাভুক্ত

এই নিয়ম ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মক্কা, মিনাসহ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন। একইসঙ্গে, যারা এ ধরনের ব্যক্তিদের ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তারাও শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন না। এই অপরাধে জরিমানার পরিমাণ সর্বোচ্চ ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি ব্যক্তির জন্য জরিমানার পরিমাণ পৃথকভাবে গুণিত হবে।

সহায়তাকারীরাও অপরাধী

অবৈধ হজ পালনে সহায়তা করা—যেমন

  • অবৈধ হজযাত্রীদের পরিবহন করা,
  • আবাসন বা আশ্রয় দেওয়া,
  • অবস্থান গোপন রাখা,
    এই সব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

প্রত্যেকটি অবৈধ হজযাত্রীর জন্য দোষী ব্যক্তিকে পৃথকভাবে জরিমানা দিতে হবে, অর্থাৎ জরিমানার পরিমাণ গুণিত হবে।

১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা

এছাড়াও, যারা ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় কিংবা অবৈধভাবে সৌদি আরবে থেকে হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
“পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ ও নিরাপদ রাখতেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *