

স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ যে ধরনের অপকর্ম করেছে, তা আর কোনো দলকে করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একক কোনো সংগঠনের দেশ নয়। এ দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত “ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ও ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে র্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “বিএনপির যত বড় নেতাই হোন না কেন, যদি কোনো অপকর্মে জড়ান, তার দলে জায়গা হবে না। বিএনপিতে কোনো ফ্যাসিবাদীর ঠাঁই নেই, যিনি আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন, তাকেও দল থেকে বিদায় নিতে হবে।”
তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “দীর্ঘ দেড় দশক ধরে আমাদের সহযোদ্ধারা গুম হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, শত শত মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, রাজপথে রক্ত দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।”
জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান এবং জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা।
বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দলীয় নেতৃত্ব তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে দিতে হবে।”
তিনি দলীয় ঐক্যের গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “সব ভেদাভেদ ভুলে এখন সকল নেতা-কর্মীর ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময়।”
সমাবেশ শেষে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে মণিহার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।