

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে চায় না ভারত—এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি বলেন, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালালেও আক্রমণের পথ অব্যাহত রাখার কোনো ইচ্ছা নেই, তবে পাকিস্তান হামলা চালালে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
রাজনাথ সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর একটি চলমান সামরিক কার্যক্রম। আমরা এখনই উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। কিন্তু যদি পাকিস্তান হামলা চালায়, ভারতও পাল্টা আঘাত হানবে।”
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের বিমানবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালায়। ভারতীয় সূত্র অনুযায়ী, অভিযানে প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যদিও নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক বলেও সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর নেতারা সরকারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্তে আমরা সরকারের পাশে আছি। সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করে সরকার যে পরিপক্কতা দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।”
তবে রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। “সংকটের সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকা উচিত,” বলেন তিনি।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এই বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো পরিপক্কতা দেখিয়েছে। সবাই একযোগে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছে এবং সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এ ধরনের সামরিক উত্তেজনা এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে। তবে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর সক্রিয় ভূমিকায় উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।