

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সময়টা একেবারেই সুখকর ছিল না ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার অ্যান্টোনির জন্য। পারফরম্যান্স যেমন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তেমনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন এই তরুণ ফুটবলার।
২০২২ সালে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে ডাচ ক্লাব আয়াক্স থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। শুরুতে বিশাল অঙ্কের এই ট্রান্সফার নিয়ে ব্যাপক আশাবাদা থাকলেও ধীরে ধীরে তিনি ছন্দ হারাতে থাকেন এবং সমালোচনার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, না খেয়ে দিন কাটানো, নিজেকে ঘরে বন্দি রাখা, এমনকি ফুটবলের প্রতি আগ্রহ হারানোর মতো মানসিক অবস্থা তৈরি হয়েছিল তার।
শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ধারে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসে যোগ দেন অ্যান্টোনি। সেখানেই যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত বেতিসের হয়ে ২৫ ম্যাচে ৯ গোল ও ৫টি অ্যাসিস্ট করে দলকে প্রথমবারের মতো উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন।
টিএনটি স্পোর্টস ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্টোনি নিজের কঠিন সময়ের কথা জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন,
“বেতিসে এসে সবকিছু বদলে গেছে। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ইউনাইটেডে কিছুই হচ্ছিল না, আমি খুশি ছিলাম না। ফুটবল খেলার ইচ্ছাটাই হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন,
“আমার ভাইকে বলেছিলাম, আর পারছি না। শুধু ঘরে থাকতে চাইতাম। ছেলের সঙ্গে খেলার শক্তিও ছিল না। না খেয়ে দিন কাটিয়েছি, নিজেকে ঘরে বন্দি করে রেখেছিলাম। খুব কঠিন সময় ছিল। তবে এখন ঈশ্বরের কৃপায় অনেক ভালো আছি।”
অ্যান্টোনির এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং পেশাদার ক্রীড়াঙ্গনে চাপ ও প্রত্যাশার প্রভাবের বিষয়টিকে নতুন করে সামনে এনেছে। এখন বেতিসে নিজেকে প্রমাণ করে আবারও ইউরোপীয় ফুটবলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার স্বপ্ন দেখছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।