

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শুক্রবার পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার পরবর্তী কিস্তি ছাড়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রতিবেশী ভারত সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর প্রেক্ষাপটে আইএমএফ বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, আইএমএফ বোর্ডে ভারত নিজেদের মতামত তুলে ধরবে। তার মতে, পাকিস্তানকে দেওয়া ধারাবাহিক ঋণ সহায়তার কার্যকারিতা নিয়ে ‘গভীরভাবে ভাবা উচিত’।
পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের এই তহবিল এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দুর্বল প্রবৃদ্ধির চাপ সামলে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
এই জটিল অবস্থায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরই মধ্যে তিনি জানিয়েছেন, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার প্রশ্নে বিশ্ব ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে না।
অজয় বাঙ্গা ভারতের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, “চুক্তি স্থগিতের কোনও বিধান নেই। এটা হয় বাতিল করতে হবে, নয়তো পুনরায় নতুন করে চুক্তি করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা কেবল একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর।”
সিন্ধু নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত এই ঐতিহাসিক চুক্তি দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই বিবেচিত হয়ে আসছে।