

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এসব দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করে আলেম-ওলামাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিশন গঠন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সমকামিতার সামাজিক স্বীকৃতি বন্ধ, শাপলা চত্বর ও জুলাই ‘গণহত্যার’ বিচারে গতি আনাসহ শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার নিশ্চিত করা, আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে নিষিদ্ধ করা, ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে হওয়া সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার।
এছাড়া তারা দাবি করে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও উচ্চকণ্ঠ হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং দেশবাসীকে ইসরায়েলি ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, রাখাইন ইস্যুতে সরকারের ‘আত্মঘাতী’ অবস্থান থেকে সরে আসা এবং পার্বত্য অঞ্চলে মিশনারি কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
হেফাজতের অন্যতম জোরালো দাবি ছিল কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং তাদের সবধরনের ‘অপতৎপরতা’ বন্ধ করা। সংগঠনটির ভাষায়, এসব পদক্ষেপ সাধারণ মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় জরুরি।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। দুপুর ১টা ১১ মিনিটে আমিরের মোনাজাতের মাধ্যমে এই সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।