আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, গ্রেপ্তারে পুলিশ পেল আইনি বৈধতা

print news
img

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে এখন আর আইনি বাধা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আদেশ জারি হওয়ার পর পুলিশ পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী সরাসরি গ্রেপ্তার অভিযান চালাতে পারবে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, এতদিন দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না হওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গ্রেপ্তারে দ্বিধায় ছিল। তবে এখন আওয়ামী লীগের সমাবেশ, মিছিল, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পক্ষে কথা বলাও আইন লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকার আজ সোমবার (৮ মে) আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করতে যাচ্ছে। এরপর দেশের সব থানায় নির্দেশনা পাঠানো হবে যাতে কোথাও দলটির নেতাকর্মীরা গোপনে বৈঠক বা মিছিল করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ আইনের ভেতরে থেকেই কাজ করছে এবং করবে।”

সূত্র জানায়, এবার থেকে শুধু মাঠের কার্যক্রম নয়, যারা ফেসবুক বা ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশে অবস্থানকারী ব্যক্তিরাও এ নির্দেশনার আওতায় পড়বেন, এবং দেশে ফিরলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। সব এসপিকে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

সাবেক আইজিপি নূরুল হুদা মন্তব্য করেন, “আইনি বৈধতা ছাড়া গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। এখন যেহেতু নিষিদ্ধ ঘোষণা এসেছে, পুলিশ গ্রেপ্তারে বাধামুক্ত।”

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, “পেনাল কোডের ১৮৮ ধারায় বলা আছে—সরকারি আদেশ অমান্য করলে গ্রেপ্তারযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং ছয় মাস পর্যন্ত সাজা হতে পারে।”

এদিকে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইনেও আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম বন্ধে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটিসহ অনলাইনে দলটির উপস্থিতি বন্ধে শিগগিরই মেটা ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকে চিঠি পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *