

নিজস্ব প্রতিবেদক
“বাংলাদেশে কোথাও কোনো সুশাসন নেই, পুলিশেও কোনো পরিবর্তন হয়নি,” — এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এক সময় ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের বই ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা : যাপিত জীবনের আলেখ্য’–এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “গতকালই এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি বললেন, ‘আগে ঘুষ দিতাম এক লাখ টাকা, এখন দিই পাঁচ লাখ টাকা।’ আমি জানি না এটাকে আপনারা কীভাবে দেখবেন।”
তিনি বলেন, “পুলিশ বাহিনীতেও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। বরং তারা দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। একবার বলে মিলিটারির কাছে যাও, আবার বলে কোর্টে যাও। তাদের আত্মবিশ্বাস নেই, কারণ তারা আগের সরকারের অপকর্মে জড়িত ছিল।”
“রাতারাতি সব কিছু বদলানো সম্ভব নয়”
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলা যাবে না। আবার দীর্ঘকাল অপেক্ষাও করা সম্ভব নয়। দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সংস্কার আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বারবার রাস্তায় নেমেছি, মানুষকে সংগঠিত করেছি। শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি পরিবর্তন এনেছি, এবং নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
“লোক ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না”
সেদিনই জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘জিয়া পরিষদ’ আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল।
সেখানে তিনি বলেন, “কয়েকজন ব্যক্তিকে দেশ-বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। এটা আমাদের বুঝতে হবে।”
নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন চাই, কারণ তবেই জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে, তারা সংসদে যাবে, আর তবেই জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।”
“পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়”
মির্জা ফখরুল বলেন, “এখন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এসব বোঝে না। তারা তাদের এলাকার জন্য একজন প্রতিনিধি খোঁজে, যে কাজ করতে পারবে। PR পদ্ধতিতে এটা সম্ভব নয়।”