

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তিতে কোনো আইনভঙ্গ বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি—এমন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনায় এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের তিন সদস্যের কমিটি—প্রধান প্রকৌশলী এবিএম জিয়াউল হক, পরিচালক মো. রুকন উদ্দিন ও উপপরিচালক মো. নাজমুল হক—এই প্রতিবেদন তৈরি করে। কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী, চুক্তিটি বিশেষ বিধান আইন ২০১৫-এর আওতায় নিয়ম মেনেই হয়েছে এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প বিল্ট-অন-ওন-অপারেট (BOO) ভিত্তিতে অনুমোদিত হয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে। চুক্তি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেও কোনো অসামঞ্জস্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০১৫ সালের সেই বিশেষ আইন বাতিল করে দেয় এবং চুক্তিগুলো নিয়ে অভিযোগ ওঠে—বিশেষ করে দুর্নীতি ও দেশের স্বার্থ উপেক্ষার অভিযোগ। তখন গণমাধ্যমে নানা সমালোচনা হলেও, হাইকোর্টের চাওয়া রিপোর্টে চুক্তির বৈধতার পক্ষে মত এসেছে।
রিটকারী ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম জানান, আদানি চুক্তির বিষয়টি আরও বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য হাইকোর্ট আগামী মাসে একটি পরবর্তী প্রতিবেদন চাইবে।