আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও সোনার দাম বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, প্রতি আউন্স সোনার দাম ২.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১৭ ডলারে। এর বিপরীতে দুর্বল হয়েছে মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি, ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তার টানাপড়েন এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উদ্ভূত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ। বিশেষ করে গাজা ও ইসরাইল ইস্যুতে হুতিদের হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সুদ হারের সিদ্ধান্ত বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
ফেডারেল রিজার্ভের ৭ মে’র সভায় সুদের হার অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সিএমই ফেডওয়াচ টুল। তবে ট্রাম্প ফেড প্রধান জেরোম পাওয়েলকে ‘কঠোর’ বলে সমালোচনা করার পর বাজারে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ে। পাওয়েলকে প্রভাবিত করতে ফেড কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের খবরও উঠে এসেছে।
এদিকে তাইওয়ান ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক কৌশলের ফল বলে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে। অন্যদিকে সোনা খনির খাতে দক্ষিণ আফ্রিকার গোল্ড ফিল্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড রোড রিসোর্সেসের মধ্যে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সুদের হার বাড়লে সাধারণত সোনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, কারণ বন্ডের রিটার্ন তখন বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে বর্তমান অনিশ্চয়তায় সোনাই এখন নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের ওঠানামার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার আশ্বাস পেতে সোনার দিকে ঝুঁকছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron