

ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (২ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এই আদেশের ফলে সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাতেও নথি ও সেবা চালিয়ে যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ট্রাম্পের নতুন এই নির্বাহী আদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। আগের আদেশে, সরকার ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষা সহায়তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে তা কেবল যোগাযোগকেই সহজতর করবে না, বরং অভিন্ন জাতীয় মূল্যবোধকেও শক্তিশালী করবে। আরও সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠনেও এটি সহায়ক হবে। নতুন আমেরিকানদের মাধ্যমে, আমাদের জাতীয় ভাষা শেখার ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে।’
নতুন আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানানো এবং জাতীয় ভাষা শেখা ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি অংশীদারিত্বমূলক দেশে পরিণত করবে। ইংরেজি জানা শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় না, এটি নতুনদের সমাজে সম্পৃক্ত হতে, জাতীয় সংস্কৃতিতে অংশ নিতে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করে।’
ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করা সংগঠন ইউএস ইংলিশের হিসাব অনুযায়ী, ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে আইনগতভাবে ইংরেজিকে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে।