"পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতামূলক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে আর ইউএনও ও ওসি দিয়ে নির্বাচন হবে না, মধ্যরাতে নির্বাচন হবে না, 'আমি-ডামি' নির্বাচন হবে না।" — এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই হত্যার’ বিচারের দাবিতে জনমত গড়ে তুলতে এনসিপির চলমান সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, কেন্দ্রীয় সদস্য জুবাইরুল আলম মানিক, মো. আতাউল্লাহ এবং সংগঠক আরমান হোসেন।
"ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার অধিকার চাই"
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। আমাদের পেছনে রয়েছে শহীদদের রক্ত আর আহতদের আত্মত্যাগ। কিন্তু আজও আমরা ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারি না। আমরা কি সত্যিকার অর্থে ক্ষমতাবান হয়েছি?”
তিনি আরও বলেন, “এমন বাংলাদেশ গড়তে হবে, যেখানে ইসলাম চর্চাকারীদের নির্যাতন করা হবে না, যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, কেউ একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবেন না।”
“জনগণই হবে ক্ষমতার উৎস”
চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশে এনসিপির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, “আমরা আপনাদের সন্তানের মতো। আমাদের যদি কোনো ভুল হয়, আপনারা আমাদের সংশোধন করবেন। কিন্তু আমরা কথা দিচ্ছি—এনসিপির নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে, যেখানে জনগণই হবে ক্ষমতার একমাত্র উৎস।”
এদিন এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক, বাঁশখালী উপজেলা চত্বর, সাতকানিয়ার কেরানীহাট, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, দোহাজারি পৌরসভা, চন্দনাইশ পৌরসভা, পটিয়া কলেজ গেইট এবং বোয়ালখালী উপজেলার ফুলতলায় পথসভা করে। প্রতিটি সভাতেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রশাসনিক সংস্কার এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron