ইউক্রেনে পুতিনের তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, স্থায়ী সমাধান চায় কিয়েভ

print news
img

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) পুতিনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন উভয়ই এই যুদ্ধের একটি স্থায়ী সমাধান চায়।

মস্কো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চলাকালে ‘মানবিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের সামরিক হামলা বন্ধ রাখা হবে।’ মূলত, প্রতিবছর ৯ মে রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে। একই দিনে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করার ৮০তম বার্ষিকীও উদযাপন করবে দেশটি।

পুতিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রিয়ান হিউজেস সোমবার বলেন, সংঘাত থামাতে ভ্লাদিমির পুতিন যে সদিচ্ছা দেখিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তিনি একটি স্থানীয় যুদ্ধবিরতি চান এবং এই যুদ্ধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার পুতিনের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সমালোচনা করে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ‘একটি প্রতারণার চেষ্টা’। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা বলেছেন, ‘রাশিয়া যদি সত্যিকার অর্থেই শান্তি চায়, তাহলে তাদের এখনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। ৮ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কেন? ইউক্রেন একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি করতে প্রস্তুত।’

এর আগে, খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডে উপলক্ষে ১৯ এপ্রিল ৩০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেও সেদিন রাশিয়া দুই হাজার ৯০০টি হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও সেদিন রাশিয়ায় হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *