

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ওপর তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো হুথিদের সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কমান্ড সেন্টারে একের পর এক আঘাত হানে। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এক্সে দেওয়া পোস্টে ইয়েমেনে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের কোনো কর্তৃত্ব নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার জন্য আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ বলে মনে করে বিশ্ব। ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।’
হামাসও ইয়েমেনে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানার আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই হামলা “আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন” এবং ইয়েমেনের “সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার” উপর সরাসরি আক্রমণ।
সংগঠনটি ভ্রাতৃপ্রতিম ইয়েমেনের জনগণের সাথে তাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে এবং গণহত্যামূলক যুদ্ধের মুখে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলকে জবাব দেওয়ার জন্য ইয়েমেনের যোদ্ধাদের প্রশংসা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, ইরানের অর্থায়নে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সেনা ও বন্ধুদের লক্ষ্য করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা।