ইরানের পাল্টা হামলায় তেল আবিব ও হাইফায় ধ্বংসযজ্ঞ, নিহত ৩, বহু আহত

print news
img

ইসরায়েলের তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ জুন) রাতের এই হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা, হাইফার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় গণমাধ্যম ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


হাইফায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত জরুরি সংস্থাগুলোর বরাতে জানানো হয়েছে, সেখানে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তেল আবিবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় তেল আবিব ও জেরুজালেমের আকাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে, এবং একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে শহর।


ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) জানিয়েছে, এবারের হামলায় তারা “নতুন কৌশল” প্রয়োগ করেছে, যার ফলে ইসরায়েলের বহুপদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজেদের ভেতরেই সংঘর্ষে জড়ায়। রেভ্যুলুশনারি গার্ডসের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “লক্ষ্যবস্তুতে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।”


তেহরান জানায়, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে। সেই আগ্রাসনেরই জবাবে এই পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েলি সময় অনুযায়ী সোমবার ভোরেও একাধিক শহরে মিসাইল আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।


এই পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে যে, এই সংঘাত আরও বিস্তৃত হয়ে পড়তে পারে এবং তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও জ্বালানিবাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই হামলা সামরিক সক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিবর্তনের এক নতুন ধাপ নির্দেশ করছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে—ইসরায়েল পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয়, আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেমনভাবে এই উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *