ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটের রায় আজ, হাইকোর্টে উত্তেজনার অপেক্ষা

print news

img

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণের বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হাইকোর্ট আদেশ দেবেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বেলা ১০:৪৫ মিনিটের দিকে এ বিষয়ে রায় দেবেন বলে জানা গেছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন, এবং বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন দ্বিতীয় হন। পরবর্তীতে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ইশরাক ফল বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা করেন।

২০২৪ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেট বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন, এবং ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন সেই গেজেট প্রকাশ করে।

তবে এই গেজেটের বৈধতা নিয়ে আইনি বিতর্ক শুরু হয়। আইনজীবী মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করে রায় ও গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। তার দাবি,

ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর নয়, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করেছে, রায় দ্রুত ও যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই হয়েছে, নির্বাচন কমিশন রায় চ্যালেঞ্জ না করলেও এটি স্বতঃসিদ্ধ নয়।

আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন আদালতে রিট খারিজের যুক্তি তুলে ধরেন। তারা বলেন,

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের একমাত্র পথ নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্টে রিট করা সংবিধানসিদ্ধ নয়।

ইশরাকের সমর্থকেরা কয়েকদিন ধরে রাজধানীর নগর ভবন, কাকরাইল, যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তারা বলছেন,

“গেজেট প্রকাশ হয়েছে, এখন শপথই বাকি। সরকার আর আদালত সময়ক্ষেপণ না করে নবনির্বাচিত মেয়রকে দায়িত্ব দিতে হবে।”

আজকের হাইকোর্টের আদেশের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে—

ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথ গ্রহণের পথ খুলবে, নাকি গেজেট ও ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত হবে, ফলে নতুন আইনি জটিলতা তৈরি হবে।

এই রায় শুধু ইশরাক হোসেন বা ডিএসসিসি-ই নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ট্রাইব্যুনাল ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *