ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান: ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে

print news
img

গাজার ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা ও অবরোধের ১৭ মাস পর, মুসলিম বিশ্বের কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিত এক বিরল ধর্মীয় ফরমান বা ফতোয়া জারি করেছেন। এই ফতোয়ায় তারা সমস্ত মুসলিম দেশকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মিশরীয় ইসলামী পণ্ডিত ইউসুফ আল-কারাদভীর নেতৃত্বে থাকা ইসলামি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস (আইইউএমএস) এবং প্রভাবশালী কুর্দি সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত শেখ আলী আল-কারাদাঘি, ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম দেশগুলোর দ্রুত সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

শেখ আলী আল-কারাদাঘি বলেন, গাজার মুসলিমদের ওপর আক্রমণ এবং আরব ও মুসলিম সরকারগুলোর সমর্থন না দেওয়া ইসলামী আইন অনুযায়ী এক ধরনের বড় অন্যায়। তিনি আরও বলেন, গাজার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহায়তা করা, বিশেষ করে অস্ত্র বিক্রি বা অস্ত্র পরিবহন সহজতর করা ইসলামী আইনে নিষিদ্ধ। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরোধের দাবি জানান।

ফতোয়াটি শাসিত অঞ্চলের হাজারো মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আলী আল-কারাদাঘি এবং তার সমর্থকরা ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে এক জন। ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের কাছে তার ফতোয়াগুলো গভীরভাবে গুরুত্ব বহন করে।

এছাড়া, ১৪ জন ইসলামিক বিশেষজ্ঞও আলী আল-কারাদঘির ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের সাথে ‘শান্তি চুক্তি’ পর্যালোচনা করতে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করেন।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তার সরকারের ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আবার শুরু হয়েছে। এর ফলে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *