

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের সময় গ্রামে যাতায়াতের চাপে সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তাই যাত্রী ভোগান্তি এড়াতে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের রওনা হওয়া ঠেকাতে ছুটির পরিধি বাড়ালে যাত্রা হবে আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত—এমনটাই মত সরকারের।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ঈদের ছুটি শুরু হবে ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) এবং শেষ হবে ১৪ জুন (শনিবার)। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদ হতে পারে ৭ জুন। সাধারণত ঈদুল আজহায় তিন দিনের ছুটি থাকলেও এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশ দিনে। যদিও ছুটির পূর্ববর্তী দুটি শনিবার (আজ ১৭ মে ও ২৪ মে) সব সরকারি অফিস খোলা রাখা হবে।
অবশ্য দীর্ঘ ছুটি নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। এক পক্ষ বলছে, শুধুমাত্র ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ১০ দিন স্থবির করে রাখা যুক্তিসংগত নয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকিং খাতে প্রভাব পড়তে পারে।
তবে প্রশাসনের যুক্তি, প্রতিটি পেশাজীবীর মানসিক ও শারীরিক বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘ ছুটি শেষে কর্মীরা নবউদ্যমে কাজে ফিরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।