

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও গাজার ওপর ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের দিনেও গাজার কোথাও নিরাপদ নয়। ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা চালাতে থাকে। বিশেষ করে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত সাতটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া গাজার কেন্দ্রীয় অংশ, নুসেইরাত ও নেটজারিম করিডোরে কামান দিয়ে হামলা চালানো হয়। দেইর এল-বালাহতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যেখানে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চল মাগাজি শরণার্থী শিবিরের এক ফিলিস্তিনি নিহত হন, তার মৃতদেহ দেইর এল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈদের দিন, রোববার, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আল-মাওয়াসি হাসপাতালে তিন তরুণীকে নতুন পোশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক সপ্তাহ পর ১৫ জন জরুরি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে, তাদের নেতাদের নির্বাসিত করতে হবে এবং গাজার নিরাপত্তা ইসরায়েলের হাতে তুলে দিতে হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০,২৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৪,০৯৫ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে।