

উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ দেশের যেকোনো স্থানে কেউ বর্জ্য পোড়ালে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়ী ব্যক্তি সরকারি বা বেসরকারি যেই হোক, তাকে শনাক্ত করে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বায়ুদূষণ রোধে নির্মাণসামগ্রী ও বালু সঠিকভাবে ঢেকে এবং ঢেকে পরিবহন করতে হবে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ভ্রাম্যমাণ আদালত একযোগে কাজ করবে।” তিনি সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির সমালোচনা করে বলেন, “একেকটি সংস্থা যেন আলাদাভাবে রাস্তা খনন না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, শহরজুড়ে ‘নো ব্রিক ফিল্ড জোন’ বাস্তবায়ন করা হবে এবং শহরের রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অঞ্চলভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণাও দেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “শহরকে সবুজায়ন করতে হবে। রাস্তার ডিভাইডারে ঘাস লাগাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য রক্ষায় বায়ুদূষণ কমানো এখন সময়ের দাবি। এজন্য জনসাধারণকেও সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিআরটি চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ।