

বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালের জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ২ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার ওই বক্তব্য সোমবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, “একাত্তর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের বছর আর ২০২৪ ছিল দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দুটি বছর রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রটি স্বাধীনতাপ্রিয় লাখো শহীদের রক্তে লেখা। সেই স্মারকে একাত্তর আর চব্বিশের রাজনৈতিক বার্তা হলো—দিল্লির তাঁবেদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ পিন্ডি ত্যাগ করেনি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, দেশের সিপাহি-জনতাও এই একই বার্তা দিয়েছিল।”
তাঁবেদার রাষ্ট্রের অভিযোগ
তারেক রহমান আরও অভিযোগ করেন, “দীর্ঘ দেড় দশক ধরে একটি পতিত ও পলাতক স্বৈরাচারী সরকার স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের স্বাধীনতার বার্তা যারা উপেক্ষা করেছে, তাদের দোসর ও অপশক্তি যেন ভবিষ্যতে আর কখনও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেটিই হতে হবে বাংলাদেশের আজ ও আগামীর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একথাও বলেন, “এদেশের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছে, তা প্রমাণ করে—বাংলাদেশের জনগণ আর কোনোদিন তাঁবেদারিত্ব মেনে নেবে না।”