

সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে গত এক বছরে ৩৫৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৪২ শ্রমিক। বেশির ভাগ কারখানাই তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও টেক্সটাইলশিল্পের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, শ্রমিক অসন্তোষ, এলসি জটিলতা, গ্যাস–বিদ্যুৎ সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও কার্যাদেশ কমে যাওয়া এ সংকটের বড় কারণ।
সাভারে বন্ধ হয়েছে ২১৪টি কারখানা, বেকার হয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে ১২২টি কারখানা। গাজীপুরে বন্ধ হয়েছে ৭২টি কারখানা, কাজ হারিয়েছেন ৭৩ হাজার শ্রমিক। চট্টগ্রামে গত এক বছরে বন্ধ হয়েছে ২১টি কারখানা, প্রভাব পড়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্পেও, যেখানে বহু শ্রমিক আগেই বেকার হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে বন্ধ হয়েছে ২৬টি পোশাক কারখানা, চাকরি হারিয়েছেন ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক। নরসিংদীতে বন্ধ হয়েছে ২০টি ছোট কারখানা, বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০০ শ্রমিক।
শিল্প মালিকরা বলছেন, আর্থিক সংকট ও ক্রয়াদেশের ঘাটতি সবচেয়ে বড় সমস্যা। শ্রমিক নেতাদের মতে, চাকরি হারানো কর্মীদের অনেকেই বিকল্প আয়ের পথে নেমেছেন—কেউ গ্রামে ফিরেছেন, কেউ রিকশা চালাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শিল্প খাতে সহায়ক নীতি ছাড়া আগামী দিনে আরও কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।