

মে মাসের ২০ তারিখ পেরিয়ে গেলেও এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) পাননি দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষক ও কর্মচারী। এতে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা।
এদিকে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে বেতন পেয়ে গেলেও সাধারণ বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা এখনো অপেক্ষায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস (Education Management Information System) সেলের একজন সিস্টেম অ্যানালিস্ট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বেতন প্রস্তাব প্রস্তুতের কাজ বিলম্বিত হয়েছে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
“আগে এনালগ পদ্ধতিতে যেকোনো কর্মকর্তা বেতন প্রস্তাব প্রস্তুত করতে পারলেও এখন তা একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে বিশেষ প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে করতে হয়। আমাদের ওই বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ৭ মে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে প্রক্রিয়া থেমে যায়।”
মহাপরিচালক আরও জানান, অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য ইএফটি সিস্টেমে (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) গড়মিল থাকায় বেতন ছাড়ে বিলম্ব হয়েছে।
“প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এখনো তথ্য সংশোধন করেননি। তবে যাঁরা সংশোধন করেছেন, তাঁদের প্রস্তাব চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।”
সংকট নিরসনে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক।
তিনি বলেন,
“আমরা চাই একাধিক কর্মকর্তা যেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেতন প্রস্তাব তৈরি করতে পারেন। এজন্য প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল বিকল্প ভাবা হচ্ছে।”
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন,
“অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসেস ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।”