

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবন এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভবনে প্রবেশ করতে কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। অন্যদিকে, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। শনিবার সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের এনবিআরের নিচে ও ঢাকার সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস এবং ভ্যাট কমিশনারেটে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সারাদেশেও একইভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে, যার ফলে কাস্টম হাউসে কোনো কাজ হচ্ছে না এবং ভ্যাট ও কর অফিসেও সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে রপ্তানি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মসূচির আওতায় সেবা চালু রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, গত ২২ মে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ, এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার করা হোক। তারা জানান, এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, এ বিষয়ে এখনও সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা এবং কর্মবিরতির কারণে এনবিআরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ায় উদ্বেগ বিরাজ করছে। দেশের রাজস্ব আদায়ের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান এনবিআরের এই কর্মবিরতি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।