

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না শুক্রবারের এনসিপির সমাবেশ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, “ওই সমাবেশে সব মিলিয়ে এক হাজারের মতো লোক হয়েছিল, যার অর্ধেকই ছিল ভাড়া করা ভদ্রমহিলা। নিজেদের মেধাবী ও তারুণ্যদীপ্ত দাবি করলেও সমাবেশ দেখে তা বোঝা যায়নি।” শনিবার দুপুরে খুলনার একটি হোটেলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছাত্র প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পিকনিকের আমেজে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করছে। “এটা যেন সংস্কার নয়, বিনোদনের একটা আয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে,”— মন্তব্য করেন মুন্না।
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা এখন নানা ধরনের আস্ফালন করছে। কাউকে ক্ষমা করছে, কাউকে আবার আপন করে নিচ্ছে। সকালে এক কথা বলছে, বিকেলে আরেক কথা বলছে।”
বিএনপির অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি একাধিকবার দেশ পরিচালনা করেছে। একটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের মঙ্গল এবং অগ্রগতির জন্য বিএনপিই উপযুক্ত।” দেশের মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে বলেও দাবি করেন তিনি।
‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার উপলক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং সভা পরিচালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
এই বক্তব্যগুলো নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের তরফে এনসিপির রাজনৈতিক অবস্থান এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার সুর স্পষ্ট।