স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যাপক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সাবেক এই কর্মকর্তা বিভিন্ন সরকারি পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুজিবুর রহমানের মালিকানাধীন রাজধানীর মিরপুরে ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, মিরপুর, খিলক্ষেত ও পূর্বাচল এলাকায় ১০টি প্লট এবং পূর্বাচলে একটি বাড়ি ও সাভারে একটি জমিসহ টিনশেড বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে আরও বেশ কিছু স্থাবর সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ব্যাংক হিসাবেও বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলন করেছেন। তাদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হওয়া অর্থ লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে দুদক।
গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মুজিবুর রহমান আত্মগোপনে চলে যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তার দুর্নীতির অভিযোগগুলোর সঙ্গে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে, দুদক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রীর নামে থাকা এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করেছে। তাদের ১৫টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক ২৪ মার্চ আদালতে এই আবেদন করেন। মুজিবুর রহমান গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। এর আগে তিনি সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু প্লট রয়েছে, যার মধ্যে ৭টি প্লট ভাষানটেক বাউনিয়া মৌজায় অবস্থিত। তাসরিনের নামের সবচেয়ে বড় প্লটের আকার ৭ কাঠা, যার মূল্য ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়া, মুজিবুর রহমানের নামে মাটিকাটা ও খিলক্ষেত এলাকায় তিনটি প্লট এবং সাভারে জমিসহ টিনশেড বাড়ি রয়েছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron