এসএসসি-২০২৫: সর্বনিম্ন ফলাফলের প্রতিবাদে খাতা পুনর্নিরীক্ষণে রেকর্ড আবেদন

print news
img

নিজস্ব প্রতিবেদক |
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে।

ঢাকা বোর্ডেই আবেদন ৯২ হাজার ৮৬৩ শিক্ষার্থীর
শুধু ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন পড়েছে, যা অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি। আবেদন করেছেন মোট ৯২,৮৬৩ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ হাজার বেশি

সবচেয়ে বেশি আবেদন গণিতে
পুনঃনিরীক্ষণের বিষয়ভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,

  • গণিতে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে: ৪২,৯৩৬টি
  • ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে: ১৯,৬৮৮টি করে
  • পদার্থবিজ্ঞান: ১৬,২৩৩টি
  • বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে: ১৩,৫৫৮টি
  • চারু ও কারুকলায় সবচেয়ে কম: মাত্র ৬টি

ফলাফল প্রকাশ ১০ আগস্টের মধ্যে
পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। যেসব শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হবে, তাদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। পাশাপাশি সংশোধিত ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।

পুনঃনিরীক্ষায় ‘খাতা পুনর্মূল্যায়ন’ হয় না
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাতা পুনঃমূল্যায়ন নয়, বরং পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে চারটি দিক যাচাই করা হয়:
১. সব প্রশ্নে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না
২. প্রাপ্ত নম্বর সঠিকভাবে যোগ করা হয়েছে কি না
৩. নম্বর ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তোলা হয়েছে কি না
৪. ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট সঠিক হয়েছে কি না

বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া
শিক্ষাবিদদের মতে, ফলাফলে এমন ধস এবং বিপুল সংখ্যক পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আস্থাহীনতারই ইঙ্গিত দেয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ফলাফল যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা, নির্ভুলতা এবং গুণগত মান নিশ্চিতে শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতি দায়িত্ব আরও বাড়ানো উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *