

তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশে উন্নীতকরণ ও সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যুসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায়ে আগামী ২৫ মে থেকে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশে আট ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (১১ মে) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে তারা ‘ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার’ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমরা কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা করি। কিন্তু সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত ফি, লাইসেন্স ও হয়রানি আমাদের ব্যবসা চালানো কঠিন করে তুলেছে।”
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি পূরণে সরকারকে ১২ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ২৫ মে থেকে প্রতীকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হজ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের তেল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
ঐক্য পরিষদের ১০ দফা প্রধান দাবি:
১. তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করতে হবে।
২. সওজের ভূমির ইজারা মাশুল পূর্বের নিয়মে বহাল রাখতে হবে।
৩. ইজারা নবায়নের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করতে হবে।
4. বিএসটিআই কর্তৃক নতুন ফি বাতিল ও পূর্বের নিয়মে পরিমাপ যাচাই করতে হবে।
৫. আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ও ডিপ রড সংক্রান্ত নতুন ফি বাতিল করতে হবে।
৬. পাম্প মালিকদের জন্য পরিবেশ, কলকারখানা ও ফায়ার লাইসেন্স বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে হবে।
৭. অবৈধ তেল বিক্রি ও অনুমোদনহীন মেশিন স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
৮. বিপণন কোম্পানির বাইরে তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
৯. ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু সহজ করতে হবে।
১০. আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু এবং রাস্তায় ট্যাংকলরি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।