

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইটভাটার মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা ট্রাক, ট্রাক্টর ও ভেকু মেশিনের অস্বাভাবিক চলাচলের ফলে এলজিইডি’র পিচঢালা রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মিত এসব রাস্তা দ্রুত নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
উপজেলায় ইটভাটা মৌসুমে জমির টপ সোয়েল কেটে কিংবা পুকুর খননের মাধ্যমে মাটি সংগ্রহ করা হয়। মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দিনের পর দিন ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ চালায় এবং রাস্তায় ট্রাক্টর ও ট্রলি দিয়ে মাটি টেনে স্থানীয় রাস্তা নষ্ট করছে। ফলে ছোট যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। মাঝে মাঝে পরিচালিত মাটিকাটা বিরোধী অভিযানও তেমন স্থায়ী হয়নি।
ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল পূর্বপাড়ায় মেসার্স রহুল আমিন ব্রিকস প্রতিষ্ঠান ভেকু দিয়ে মাটি কাটার পাশাপাশি সরকারি এলজিইডি’র রাস্তা ব্যবহার করায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং রাস্তায় মাটি পড়ে যান চলাচল বন্ধের মতো অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, গত মাসে রামদিয়া বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মোঃ সাহিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে মাটি বিক্রির অপরাধে। এছাড়াও মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর মধ্যপাড়ায় মাটি কাটার অপরাধে মোঃ মিসকাতকে জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন পাল জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।