

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক বিশ্বজিত কুমার পাল। তিনি বলেন, “গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে যারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করেন, যেমন এনজিও প্রতিনিধি বা সমাজকর্মীরা, তাদের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণের কাছে গ্রাম আদালতের সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত। তিনি বলেন, “গ্রাম আদালত একটি বিকল্প বিচার ব্যবস্থা, যা সাধারণ মানুষকে খুবই অল্প খরচে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফৌজদারি মামলার ফি মাত্র ১০ টাকা এবং দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা, এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের বিরোধ নিস্পত্তি সম্ভব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন মাঠপর্যায়ে কর্মরত অংশীজনদের একত্রে কাজ করা। তাদের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের মাঝে এই সেবার বার্তা পৌঁছানো সম্ভব।”
সভায় গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রচার ও সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার মো. আলিউল হাসানাত খান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, ডিআরটি সদস্য, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় প্রতিনিধি, যুব সমাজের সদস্য এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গ্রাম আদালত কার্যক্রম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত, সাশ্রয়ী ও ন্যায়সঙ্গত বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।