

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং প্রো-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কুয়েট প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা তারা পায়নি।
পদত্যাগ নয়, চলছে গুঞ্জন
দিনভর ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন চললেও কুয়েটের রেজিস্ট্রার দপ্তর তা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়নি, কিংবা কোনো লিখিত অব্যাহতিও আসেনি।
শিক্ষার্থীদের দাবি ও উদযাপন
অব্যাহতির খবরে কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যায় উল্লাস। বিকেলে তাঁরা আনন্দ মিছিল বের করেন, যেখানে গান, নৃত্য, শ্লোগানে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস। এর আগে, বুধবার রাত ১টায় অব্যাহতির সম্ভাব্য ঘোষণার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে মিছিলে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিদল জুস পান করিয়ে তাঁদের অনশন ভাঙান।
শিক্ষক সমিতির আপত্তি: ন্যায়বিচারের অবমাননা
কুয়েট শিক্ষক সমিতি ঘটনার সমালোচনা করে বলেছে, চাপের মুখে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ন্যায়বিচারকে ব্যাহত করে। তাঁদের মতে, পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ শিক্ষাক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
শিক্ষক সমিতির এক বিবৃতিতে সভাপতি ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. ফারুক হোসেন বলেন, “যারা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চায়, আজ তারাই রাজনীতির প্রভাবিত সিদ্ধান্তে অনড়।”
নতুন নিয়োগে সার্চ কমিটির উদ্যোগ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফেরাতে শিগগিরই একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে, যা নতুন ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করবে। ততক্ষণ পর্যন্ত একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
প্রো-ভিসির বক্তব্য: ‘আমি পদত্যাগ করিনি’
প্রো-ভিসি শেখ শরীফুল আলম দাবি করেন, “আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়নি, আমি নিজেও পদত্যাগ করিনি। যদি বলা হতো, ক্যাম্পাসের স্থিতি ফিরিয়ে আনতে আপনারা পদত্যাগ করুন—তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেত। কিন্তু এমন কিছু হয়নি।”