প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কখনোই বাকস্বাধীনতা হরণের পথ নেবে না এবং কোনো সাংবাদিকের চাকরি হারানোর জন্য সরকার দায়ী নয়। তিনি বলেন, “তিনজন সাংবাদিকের চাকরি গেছে বলেই কেউ কেউ বলছেন পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ—এটা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা সাংবাদিকদের চাকরি খাইনি, দিইও না।”

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই বিপ্লবপরবর্তী বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আপনারা সাংবাদিকেরা টিভি স্টেশনগুলোর বাইরে প্রোটেস্ট করছেন, এটা আপনাদের অধিকার। সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না।”

গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের একটি অংশ সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনজন পরিচিত সাংবাদিককে চাকরি হারাতে হয়েছে এবং সরকারের কিছু নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ বলেও অভিহিত করেন তারা। এর প্রেক্ষিতে প্রেস সচিব এ মন্তব্য করেন।

এদিন বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম জানান, চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে অথবা রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে (জিটুজি) চুক্তির ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কয়েকটি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।”