

ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল ভোট, নির্বাচন ও ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয় নয়; এটি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। আমাদের হয়তো মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে এক কাতারে আসতে হবে।”
রবিবার (৩০ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান’ ঘিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত এই গণ-আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ৩০ জুন মধ্যরাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণকে স্থিতিশীল থাকতে দিতে চায় না পতিত স্বৈরাচারী সরকার। তারা নানা অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগরে সংঘটিত এক ধর্ষণকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের এক নেতা জঘন্য অপকর্ম করলেও সেটি বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু তার দোসররা এখনো সক্রিয়। তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা দিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে দেশকে অস্থির করে তোলা যায়।”
তিনি সরকারের ধীর পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, “অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের ব্যর্থতা এই ধরনের ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে। মুরাদনগরের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।