

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন, “হায়দারের নামে যুদ্ধ শুরু হলো।” এখানে ‘হায়দার’ নামটি ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি (রা.)-এর একটি পরিচিত উপনাম, যা সাধারণত বীরত্ব ও লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।
খামেনির এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। খামেনির এ ঘোষণাকে বিশ্লেষকরা প্রতীকী যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখছেন, যার মাধ্যমে তিনি ইরানের অবস্থানকে ইসলামী বীরত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে উজ্জীবিত করতে চাচ্ছেন।
অন্যদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি উত্তপ্ত বার্তায় বলেন, “আমরা জানি সেই তথাকথিত সুপ্রিম লিডার (আয়াতুল্লাহ খামেনি) কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু আমরা তাকে সরাবো না, অন্তত আপাতত নয়।”
ট্রাম্পের বার্তাটি ছিল একধরনের প্রত্যক্ষ হুমকি। তিনি আরও লেখেন, “আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের বা আমেরিকান সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।” ট্রাম্পের এমন ভাষা ইঙ্গিত দেয় যে, ওয়াশিংটন যুদ্ধের বিস্তার এড়াতে চাইলেও প্রয়োজন হলে সরাসরি হামলার পথও উন্মুক্ত রাখছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির ‘হায়দার’-এর নামে যুদ্ধ ঘোষণা এবং ট্রাম্পের হুমকি—এই দুই বিপরীতমুখী বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা আরও ঘনীভূত করার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘোষণাগুলো মাঠ পর্যায়ে নতুন কোনো সংঘাতের জন্ম দেয় কি না।
সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল