

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেওয়া আলোচিত নেত্রী নীলা ইসরাফিল বলেছেন, উপদেষ্টা যখন একটি গণ-অভ্যুত্থানকে ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ বলে অভিহিত করেন, তখন তা শুধুই একটি আন্দোলনের অবমাননা নয়— বরং পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেন তিনি।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, ব্যক্তি টার্গেটিং এবং আন্দোলনের স্পিরিটের বিপর্যয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন এই তরুণ নেত্রী।
নীলা ইসরাফিল লেখেন, “আর এদিকে তুষার, একইরকম ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’-এ আমাকে টার্গেট করতে গিয়ে পুরো এনসিপিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রাজনীতি এখন কারা করে? চক্রান্তকারীরা, না পাগলরা? কে জানে— দেশের চেয়ে ডিজাইনটাই এখন বড়? সবাই খুব হিসেবি এখন।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আন্দোলনের স্পিরিটটা গেছে, এখন শুধু প্যাকেজিং আর ড্যামেজ কন্ট্রোল। আন্দোলন এখন আর আন্দোলন নয়, এটা পলিটিক্যাল কোরিওগ্রাফি— যেখানে কুশপুতুলরা নাচে আর চক্রান্তকারীরা করতালি দেয়। মেটিকুলাস, ইনডিড।”
নীলা তার পোস্টে লিখেছেন, “কনগ্র্যাচুলেশনস, পলিটিক্স ইজ নাউ অ্যা ডিজাইনার্স প্লে-গ্রাউন্ড। মাহফুজের চোখে গণ-অভ্যুত্থান এখন ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’। আহা, কী বুদ্ধিদীপ্ত অপমান।”
রাজনৈতিক নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই নেত্রী বলেন, যারা আন্দোলনকে রণকৌশলের নামে চক্রান্তের যন্ত্রে পরিণত করছেন, তারা ইতিহাসের সামনে দায় এড়াতে পারবেন না। আন্দোলনের নামে পেছনে ছুরি মারা, প্রতিপক্ষ নয়— দলীয় সহযোদ্ধাদের টার্গেট করাই এখন যেন নতুন নীতিমালা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নীলা ইসরাফিলের এই পোস্টে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এটিকে একটি “অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের সংকেত” হিসেবে দেখছেন, যেখানে দলীয় আদর্শ নয়, ব্যক্তিগত স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।