ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা আলমগীর মাহমুদ আলমের একটি মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণের ছবি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নেতা মিলন ফকিরের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন—এমন একটি দাবি ঘিরে ছড়ানো হয়েছে নানা তথ্য। তবে বিএনপির দাবি, প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম গত ২৫ মে স্থানীয় মশাখালী ইউনিয়নে কয়েকজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতার কবর জিয়ারতে যান। এই সফরের অংশ হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতা পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক চমক ফকির নিজ বাড়ির আঙিনায় নেতাকর্মীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। ওই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন আলমগীর মাহমুদ।
বিএনপির দাবি, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে একটি মহল বিএনপি নেতাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপন্ন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।
গফরগাঁও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “চমক ফকির ও মিলন ফকির সহোদর হলেও মিলনের কোনো সম্পৃক্ততা এই আয়োজনে ছিল না। মূলত রাজনৈতিকভাবে আলমগীর মাহমুদ আলমকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে হেনস্থা করাই উদ্দেশ্য।”
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম ইমন বলেন, “যারা এই প্রচার চালাচ্ছে তারা অতীতে সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন তারা নিজেদের বিএনপিপন্থী প্রমাণের চেষ্টা করছেন।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের পর গফরগাঁওয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলমগীর মাহমুদ আলম।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, “প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এখন রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। এসব অপচেষ্টা আমাদের পথ থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব, যাতে ফ্যাসিবাদ আর কখনো দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”