

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া গ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধী হায়দুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, হায়দুল ইসলাম ছোটোবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। গত ১০ মে হায়দুল তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সে কারো অজান্তে ঘর থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়ন বাইন্না গ্রামে যায়। রাত গভীর হওয়ায় আশ্রয় খুঁজতে এনামুল হকের গোয়াল ঘরে যায় ও অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে।
তখন এনামুল ও আশেপাশের লোকজন তাকে চোর সন্দেহ করে অমানবিক ও নৃশংসভাবে পেটাতে শুরু করে এবং তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেক গ্রামবাসী মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে বললেও হামলাকারীরা তা উপেক্ষা করে এবং আরও নির্যাতন চালায়।
সকাল হলে আত্মীয়রা তাকে অচেতন ও গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পাগলা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হায়দুল ইসলাম মারা যায়।
এ ঘটনায় ১১ মে পাগলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় এনামুল পিতা মকবুল হোসেন, রবিন পিতা কাঞ্চন মিয়া, তারা পিতা মৃত ইসহাক আকন্দ, তারা মিয়া পিতা মৃত সুবেদ আলি, মাজহারুল ইসলাম পিতা মোফাজ্জল ও আলমগীর পিতা অজ্ঞাতসহ আরও ৮-১০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নির্যাতনের সময় যে ভিডিও ধারণ করা হয়, সেখানে আরও অনেককে দেখা গেলেও তারা মামলায় আসামিতে অন্তর্ভুক্ত হননি। এর মধ্যে রয়েছে সুজন পিতা মোতালেব, মোফাজ্জল পিতা মৃত হযরত আলী, দুলাল পিতা মোতালেব, নাজিম উদ্দিন পিতা সুরুজ মিয়া ও মোরশেদ আলী পিতা মৃত তমিজ উদ্দিন সকলের গ্রাম বাইন্না।
পরিবারের সদস্যরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।