

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার স্বল্প সাপিলা গ্রামে একটি মৎস্য খামারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় খামারের মালিক সালে আকরাম খান তসলিম অভিযোগ করেছেন যে, একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে তার খামার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তসলিম জানান, দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানো ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ‘মেসার্স মা-বাবা ফিশারীজ’ নামে খামারটি পরিচালনা করে আসছেন। ৯৫ শতাংশ জমির মালিকদের সাথে লিখিত চুক্তি করে তিনি খামারের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ, ৪ কিলোওয়াট বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ, দুটি সাবমারসিবল পাম্প, মাছের খাদ্য সংরক্ষণের জন্য দুটি টিনসেট ঘর ও একটি চাপরা নির্মাণ করেন এবং দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন।
অভিযোগে বলা হয়, একই গ্রামের আকরাম আলী ও তার ছেলে মুহিন, আতাউর রহমান ও তার ছেলেরা সারুয়ার, তুষার ও রুবেল শেখসহ কয়েকজন ব্যক্তি খামারটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ২৯ আগস্ট তারা খামারের শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে খামার থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা ভূমি অফিস এবং পাগলা থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তসলিমের অভিযোগ, এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে (রাত ৩টা থেকে ৩টা ৪০ মিনিটের মধ্যে) সারুয়ার, মুহিন, তুষার, রুবেল শেখসহ ৮-১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা খামারে হামলা চালায়। তারা খামারের চাপরা ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে হামলাকারীরা নৌকা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির পর নৌকাটি উদ্ধার করে।
তিনি জানান, সকাল ৪টা ৪ মিনিটে তিনি পাগলা থানা পুলিশকে অবহিত করেন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তসলিমের অভিযোগ, হামলাকারীদের অন্যতম সারুয়ার জাহান ঈশ্বরগঞ্জ থানার চৌকি কোডে কর্মরত থাকায় তার প্রভাবের কারণে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পায় না ।