
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল ইসলাম ইমনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও মামলা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে গফরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (এএসপি) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মে পৌরসভার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় মাহবুবুল ইসলাম ইমনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে।
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে বলে দাবি করা হয়। পরে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক, থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোহন ডাক্তার, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য জয়নাল আবেদীন চানু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান পল্টন, আবু সায়েম , যুবদল নেতা সুশান, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজ্জাক, পৌর শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রিপন, পাগলা থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক নবী হোসেন, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান সোহেল, আসাদুল হক সবুজ, উপজেয়া জাসাসের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক সামাদ আহমেদ, পৌর জাসাসের আহবায়ক রোস্তম, পৌর বিএনপি নেতা এমদাদুল হক প্রমুখ ।
মাহবুবুল ইসলাম ইমন বলেন, হামলার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং একাধিকবার হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের তিনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি আশা করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে।