

জ্যাডি স্মিথ, ইয়ান ম্যাকইওয়ান, এলিফ শাফাক এবং হানিফ কুরেশির মতো বিশিষ্ট সাহিত্যিকসহ প্রায় ৩৮০ জন ব্রিটিশ ও আইরিশ লেখক গাজায় ইসরায়েলের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন।
বুধবার মিডিয়াম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই চিঠিতে তারা যুদ্ধবিরতির জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলছেন, “আমাদের জাতি ও বিশ্বের জনগণকে এই ভয়াবহতার মুখে সম্মিলিত নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার অবসান ঘটাতে আমাদের সাথে যোগ দিতে হবে।”
চিঠিতে লেখা হয়েছে, “গাজায় যা ঘটছে তা বর্ণনা করার জন্য ‘গণহত্যা’ শব্দের ব্যবহার এখনも আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ বা মানবাধিকার সংস্থাগুলির কাছে বিতর্কিত নয়।”
লেখকরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিরা কোনো বিমূর্ত সংঘাতের নিষ্পাপ শিকার নয়—বরং তারা ইচ্ছাকৃত হামলার শিকার। অতীতে ‘অযৌক্তিককে ন্যায্যতা দিতে, অনস্বীকার্যকে অস্বীকার করতে এবং অপ্রতিরোধ্যকে রক্ষা করতে’ শব্দের অপব্যবহার হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
নোবেলজয়ী লেখক অ্যানি এরনাক্স ও জ্যঁ-মেরি গুস্তাভ লে ক্লেজিওসহ ৩০০ ফরাসি ভাষার লেখক একটি অনুরূপ বিবৃতিতে সই করার একদিন পর এই চিঠিটি আসে।
চিঠিতে ব্রিটিশ ও আইরিশ লেখকরা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩,৯৭৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
লেখকরা বলেন, “এটি শুধু মানবতা বা মানবাধিকার নয়—এটি আমাদের সময়ের লেখক হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্বও।”
এদিকে সোমবার ৮০০ জনেরও বেশি যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক আইনজীবী, যাদের মধ্যে ছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতিরাও, এক চিঠিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে সতর্ক করে বলেন, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, বা অন্তত এর গুরুতর ঝুঁকি বিদ্যমান।
তারা বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে এবং যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গণহত্যা প্রতিরোধে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সূত্র: এএফপি