

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় গাজার খান ইউনিস শহরের এক পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজনই শিশু। বৃহস্পতিবার ভোররাতে আল-মাহাত্তা এলাকায় চালানো এই হামলায় মাজেন আল-ফাররা নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
জানা গেছে, এর আগেও বাড়িটি ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা সম্প্রতি মেরামত করে বসবাসযোগ্য করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ হামলায় মাজেন আল-ফাররা, তার স্ত্রী, শাশুড়ি, পাঁচ সন্তানসহ ভাইয়ের দুই শিশুও প্রাণ হারায়।
এদিকে, শুক্রবার উত্তর গাজার বাইত লাহিয়ায় আরেকটি ভয়াবহ হামলায় প্রাণ গেছে আরও তিনজনের। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, মুয়াবিয়াহ ইবনে আবি সুফিয়ান স্কুলের গেটে হামলাটি চালানো হয়। ওই স্কুলে বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। গত ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও তা ভঙ্গ করে ১৮ মার্চ থেকে আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, মার্চের পর থেকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে চার লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী সময়ে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সম্পূর্ণ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।