নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক ট্যুইটার) এক পোস্টে বলেন, ‘যদি শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবার তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে যতক্ষণ না হামাস চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে না দিলে ইসরায়েল গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত না করা পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।
এদিকে হামাস অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, যার ফলে তারা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি এতবার লঙ্ঘন করেছে যে তারা আর তাদের দায়িত্ব পালন করবে না এবং আসন্ন ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যদি শনিবারের মধ্যে আনুমানিক ৭০ জন বন্দির সবাই মুক্তি না পায়, তাহলে ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি হামাস এতে সম্মত না হয়, তাহলে ‘পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে।’
এমন অবস্থায় দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েল সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২১০ জন নিহত হয়েছে।
এই যুদ্ধের কারণে গাজার জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অবকাঠামোর প্রায় ৭০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron