

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (১৬ জুলাই) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গোপালগঞ্জ হামলার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ
বৈঠকে গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়। নেতারা বলেন, “ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর পতনের পর এখন একটি মহল নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।”
নৈরাজ্যের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় আওয়ামী দোসররা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির মতে, গোপালগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার ঘটনা একটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে থাকা আওয়ামী দোসররা এখন ‘মরণকামড়’ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে।
নেতারা বলেন, “এটি স্পষ্ট যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে একটি মহল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়।”
সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়েও আলোচনা
বৈঠকে সাম্প্রতিক আলোচিত সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং এই বর্বরোচিত হত্যার ন্যায়বিচার দাবিও তোলা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) এবং ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বিএনপির হুঁশিয়ারি
বৈঠকে নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি নৈরাজ্য সৃষ্টির এই অপচেষ্টা বন্ধ না হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
বিএনপি এ মুহূর্তে একটি শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানায়।