

ঈদের চতুর্থ দিনেও গোপালগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। এসব বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।
এদিকে এ বছর বাড়তি বিনোদন দিচ্ছে শহরের শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন বালুর মাঠে আয়োজিত শিল্প ও বাণিজ্য মেলা।
শহরের নবীনবাগ এলাকা থেকে মেলায় আসা তাহমিনা আক্তার রুপা বলেন, এবছর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ঈদে আমাদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। বাচ্চারা বিভিন্ন রাইডে উঠছে। পাশাপাশি গৃহস্থালি পণ্যসহ কাপড়ের দোকানও বসেছে।
মেলায় ঘুরতে আসা শাহাবুদ্দিন সুজা, ও আছিয়া ,এবং খাদিজা হাসান, তারিন হাসান, বলেন, গোপালগঞ্জে বেড়ানোর মত তেমন একটা জায়গা নেই। মেলা হওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে পছন্দ মতো জিনিসপত্র কিনতে পারছি।
মাসব্যাপী এ মেলায় শাতাধিক স্টলে গহনা, পোশাক, গৃহস্থলির আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। আর এসব পণ্য কিনতে সকাল থেকে রাত অবধি মেলায় আসছেন বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থী।
মেলায় ঘুরেফিরে পছন্দমত জিনিস কিনছেন ক্রেতারা। শুধু বড়দের জন্যই নয়, শিশুদের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, খাবার দোকানসহ বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসায় প্রতিদিন গড়ে মেলায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার পণ্য কেনা-বেচা হচ্ছে।
শুধু কেনাকাটাই নয় মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা স্মৃতি ধরে রাখতে তুলেছেন সেলফি। বাচ্চাদের নিয়ে উঠছেন নগারদোলা, নৌকাসহ বিভিন্ন রাইডে। দেখছেন সার্কাস।
মেলায় রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে ২০ টাকা মূল্যে একটি টিকিট কিনে মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। টিকিটের বাড়তি অংশ মেলার পাশে রাখা কুপন বক্সে ফেলছেন দর্শনার্থীরা। প্রত্যেকদিন মেলা শেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে র্যাফেল ড্র।
গোপালগঞ্জ শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, মেলায় শতাধিক ষ্টল রয়েছে। এসব স্টলে নানা রকমের পণ্য বেচা-কেনা হচ্ছে। এছাড়া আগত দর্শনার্থীদের আনন্দ দানে,সার্কাস ঝর্ণাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও মেলা কমিটির নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে।