

গোপালগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্মতারিখসহ তথ্য সংশোধনের সময় জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দু’ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবরে ই-মেইলে জমা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী মুদি ব্যবসায়ী মোঃ ইলিয়াচুর রহমান, যিনি ২০২১ সালে সৌদি প্রবাস থেকে দেশে ফিরে জন্মতারিখ ও নামের বানান সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, অফিসার প্রথমে দু’ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং পরবর্তীতে দরাদরি শেষে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় নামান। অভিযোগকারীর মোবাইল ফোনে এসব কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করার পরও সাহায্য না পাওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগীর আবেদন বাতিল হয়েছে কারণ তার তথ্য সার্ভারে ভিন্ন এবং সংশোধনের জন্য তাঁর আবেদন ‘খ’ ক্যাটাগরির, যা তার এখতিয়ারের বাইরে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভিযোগ তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে, যারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।