

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা” শীর্ষক জেলা কর্মশালা-২০২৫।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান (যুগ্ম সচিব)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (উপসচিব) বিশ্বজিত কুমার পাল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিল্টন বৈদ্য।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্প বর্তমানে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে রয়েছে, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
গোপালগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ২৩৩টি শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ১৫৭টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪৩টি ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) এবং ৩৩টি ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ২৩৩ জন শিক্ষক কর্মরত, যাদের মধ্যে ২০৭ জন নারী।
প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের বিদ্যালয়গমনে উৎসাহ প্রদান, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।