

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাদুলিয়া গ্রামে বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস পৈতৃক ভিটায় RCCG প্রতিষ্ঠানের একটি গির্জা রয়েছে।এই গির্জার জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দেকভাল করেন গোলোরীয়া বিশ্বাস। গ্লোরিয়া বিশ্বাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমরা গুটি কয়েক খ্রীষ্টিয়ান পরিবার কয়েক পুরুষ পর্যন্ত বসবাস করে আসছি। আমাদের চার্চের সামনে রেল অধিগ্রহনকৃত জায়গা রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত জায়গা ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের উদ্দেশে সরকার আমাদের ডিসিআর প্রদান করেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগনকে এ বিষয়টি অবগত করলে তারা সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১১:৩০মিনিটে গুটিকয়েক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়ির উপরে হামলা চালায় এবং আমাকে খুন করার হুমকি দেয়। আমার ছোট ছেলে তাদের হুমকির উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করতে গেলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করে। এমতাবস্থায় জরুরি সেবা লাইনে কল দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই হামলায় লিটু শেখ ও শের আলি শেখ সহ সকল অভিযুক্তরা অংশ গ্রহন করেন। তিনি সাক্ষাৎকারে আরো বলেন আমার বাড়ি সংলগ্ন দিয়ে
ট্রেন লাইন পৈতিক সূত্রে এই জায়গার মালিক আমি,
সরকার যা একোয়ার করেছে একোয়ার পরে যেটুকু বাকি ছিল সেই টুকু জায়গা বাংলাদেশ রেলের কাছ থেকে এযারা নিয়েছি। এই এজারা নেওয়াতে
দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বাড়ীর উপর ব্যাপক হামলা
ও আমার কাজের লোক কে মারপিট সহ
নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছে। আমার বড় ছেলে শিমন বিশ্বাস থানায় হাজির হয়ে বিবাদী ০১। শের আলী শেখ ০২। নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস, পিতা- মৃত অমূল্য কুমার বিশ্বাস, সাং-ভাদুলিয়া, ৩। নাসির শেখ, পিতা- মৃত শামছুল হক, সাং-মাইজকান্দি, ৪। গফ্ফার শেখ, পিতা- মৃত সামছুল হক, ৫। লিটু শেখ, পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং-চাপতা, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে আমার বড় ছেলে অভিযোগ দায়ের করেছে, আমার বসত বাড়ীটি একটি খ্রিষ্টান পরিবার এবং আমার বসতবাড়ীর সাথে একটি গির্জা ঘর আছে। বিবাদীগনের সহিত আমার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ আছে। বিবাদীগন বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইং ১০/০৬/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন পরস্পর যোগসাজসে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহকারে আমাদের বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই রিপন বিশ্বাস বিবাদীগনের গালিগালাজের কারন জানতে চাইলে সকল বিবাদীগন একত্রে আমার ছোট ভাইয়ের শরিরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সকল বিবাদীগন বলে যে, পরবর্তীতে সুযোগ পেলে তোদেরকে প্রানে শেষ করে দিব বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আমার ছোট ভাইকে চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
অভিযোগকারী স্টিফেন বিশ্বাস সিমন বলেন
আমার মা ধর্মীয় সেবক তিনি একা থাকেন
আমাদের এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য
নানাভাবে ওরা অত্যাচার করে থাকে, বর্তমান সরকারের কাছে দাবি এই অত্যাচারীদের
আইনের আওতায় আনার জন্য
অনুরোধ জানাচ্ছি।এ ব্যপারে জানতে চাইলে কাশিয়ানী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কিবরিয়া জানান উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধান করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।