

গোপালগঞ্জে নিজের স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে ফাঁসানোর জন্য মাত্র ১০ হাজার টাকায় আপন ছোট ভাই ওয়েজ কোরোনীকে হত্যা করেছেন বড় ভাই জাহাঙ্গীর খান। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চাপাইল ব্রিজের কাছে একটি ডোবা থেকে ৩০ বছর বয়সী ভ্যানচালক ওয়েজ কোরোনীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে গড়িমসি করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর নিখোঁজ হন ওয়েজ কোরোনী। পরদিন বড় ভাই জাহাঙ্গীর খান গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তিনি নিজের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, তার পরকীয়া প্রেমিক রুবেল হোসেন এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ মোট চারজনকে আসামি করে আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, জাহাঙ্গীর নিজেই তার ছোট ভাই ওয়েজ কোরোনীকে হত্যা করে। এরপর তার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে, হত্যাকাণ্ডে সহায়তাকারীদের ১০ হাজার টাকা ভাগ করে দেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহত ওয়েজ কোরোনী ও অভিযুক্ত বড় ভাই জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের চরতালা গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে। গোয়েন্দা পুলিশের অনুসন্ধানে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।