

ঢাকা প্রতিনিধি
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নির্বাচন পেছানোর একটি নতুন ষড়যন্ত্র কিনা, সেই প্রশ্ন এখন জনমনে উঠছে। তিনি বলেন, “যখনই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়, তখনই দেশে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করে।”
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী গণসংগীত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, “আমরা কিন্তু ভেসে আসিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু ঘোষণা দেননি, যুদ্ধের মাঠে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
জামায়াতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা অতীতে যা করেছেন, জাতি তা ভুলে যায়নি। এখন বুঝে শুনে কথা বলুন। পাকিস্তান বাহিনীর হামলার সময় কে তাদের পক্ষে ছিল, ইতিহাসে তা স্পষ্ট। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে ফারুক প্রশ্ন রেখে বলেন, “গতকাল গোপালগঞ্জে কোন শয়তান এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা করল? এত বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা কীভাবে সক্রিয় থাকে? ১১ মাসে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তারিখও দিতে পারেননি আপনারা।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে পরিস্থিতি কখনও ভালো থাকে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। একটি গ্রহণযোগ্য ভোটের আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “যেখানে আয়না ঘর থাকবে না, থানায় পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করা হবে না, সাংবাদিকরা অবাধে মত প্রকাশ করতে পারবে— সেই বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান।”
মানববন্ধন ও সংগীতানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান। আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনি প্রমুখ।