

‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হলো এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ণিল আয়োজনের এ শোভাযাত্রায় শুধু দেশীয় নয়, বিদেশিরাও অংশ নিয়ে উৎসবকে করে তুলেছেন আরও প্রাণবন্ত।
সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অংশ নেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নানা বয়সের মানুষ। পহেলা বৈশাখের চিরচেনা রঙের বাহার ছিল শোভাযাত্রাজুড়ে—লাল-সাদা পোশাক, মুখোশ, বাঁশের তৈরি নানা রকম শিল্পকর্ম আর ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটেছিল প্রতিটি উপাদানে।
বিশেষ চমক ছিল বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে। জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানিসহ নানা দেশের পর্যটক ও শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে নিজেরাও মেতেছিলেন আনন্দে। কেউ গলায় বাঁশি ঝুলিয়ে সুর তুলেছেন, কেউবা লাল-সাদা পোশাকে বাঙালির ঐতিহ্যে নিজেদের মিশিয়ে দিয়েছেন।
শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত মুখোশ, পাপেট, বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশালাকৃতির বাঘ, পাখি, মাছ ইত্যাদি শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, প্রকৃতিনির্ভরতা ও সংগ্রামের চিত্র।
চারুকলার এই শোভাযাত্রা শুধু পহেলা বৈশাখ উদযাপন নয়—এটি হয়ে উঠেছে অন্যায়, ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক নীরব প্রতিবাদ এবং সংস্কৃতির একতা ও বৈচিত্র্যের জয়গান।